Posts

মেঘবালিকা, তোমাকে

Image
মেঘবালিকা তোমাকে যতদূর গাছ ছুঁয়ে দেখি।  ফিরে ফিরে কাছে আসে প্রেম।  নিরালায় বসে আছি ক্লান্ত রাতের পরে।  তারপর ঘুমিয়ে গেছে যখন সন্ধ্যাতারা।  আকাশের পিঠে ধ্রুবতারা ছেয়ে আছে।  কৃষ্ণচূড়ার রঙে এখনও আমাদের গায়ে প্রজাপতি বসে। অজুহাত গ্রীবায় ভর করে আছে।  শুধু যাওয়ার সময় নেই।  এতদিন, এত কুয়াশা পার করে সমাধির মত আনন্দ।  পুড়িয়ে দিলে থাকবে কি?।  কৃষ্ণচূড়ায় লাল রং এসেছে তাই, পৃথিবীতে এখনও সকাল হয়। তোমায় শুনিয়ে গেছি কতো জন্মের গান। মনে হয় তবু শান্ত শিকড়ের তলায়। আবার এসে দুদণ্ড চোখ, কান সেকে নেই। তোমায় কবিতা শোনাবো। থেমে যাও এই ভূমিকম্পের দেশে। ব্যাস্ত গেছে যে দিনের অপেক্ষা। তার বুড়ি চাঁদ গেছে মরে। এসো মেঘবালিকা, পথের কাঁটা উপড়ে ফেলে। এই সৌন্দর্যের মাঠে হাস হয়ে ঘুরি একদিন। তোমার জোছনায় পবিত্র কবিতার বনভূমি সাজিয়েছি। একদিন, বইয়ের ঘ্রাণে মাতাল হবে তুমিও। মেঘবালিকা.....

দমকা হাওয়া

Image
এইকি তবে আমার দেশ, বিশ্রাম নাই যার দমকা হাওয়াও রাখেনি কথা, কেই বা থাকে কার? বৃষ্টি আসে বেমালুম তাই জানালার শার্শিতে ভিজে যায় মুখ জলের স্রোতে, সুখটাকে হয় দিতে রাখেনি কথা সেই মানুষ, রক্ত যাদের আছে তারাই আপন তবুও আমার জীর্ণ শরীরের কাছে এইতো সবে বিকেল বেলা রাত্রি আসবে বলে উড়িয়ে দিলে খেলার ফানুস, বিরহ মলিন ছলে? আমরাও চাই বাঁচতে আবার, দুবেলা দুমুঠো খেতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই শরীরে, চাইনাকো কিছু পেতে শরীর জুড়ে নিঃশ্বাস বয় ধমনী ছাড়ে রক্ত আমার দেহ আমার কাছেই হয় যদি অব্যক্ত নেবে তার দায়ভার, নিঃসঙ্গ একাকী পাথর হয়ে শুনবে আমার অভিশপ্ত জোনাকি? মাঝ আকাশে মেঘের সনে ভাসিয়ে দিলে ভেলা হায় তুমি কি অ-বলা? গড়িবে কি এই পাহাড়প্রমাণ মৃত্যু, প্রাণের মেলা আর প্রানে নাহি সয় বিমুখ হয়ে প্রাণ প্রজাপতি ক্ষমার আদলে কয় আর প্রাণে নাহি সয় অহেতুক সব মিথ্যে গুলোর আড়ালে হাসলে হাসি নিরবে পড়ালে আমার কন্ঠে মৃত্যুমরণ ফাঁসি হায়রে অশ্রুতল, তোমার ব্যাথার প্রতি নিমেষে হারালো যে জনা আজিকে তার দিবসের জ্যোতি তাই ফিরিয়া কহি ব্যথার সমুখ টানে যে কথা রটিছে আমাকে ব্যতীত তোমার গহীন কান

প্রকৃত রূপ

Image
এনহে শুধু আমার কথা, পুরো পৃথিবী জানে মানুষ হইয়া জন্মিলে তব মরণ যাত্রা হবে কি তুমি করিছ জগদিশে ভাই কে তুমি ভাঙ্গিছ নীড়ে কে তুমি সামনে আনিয়া দিয়াছ ভালবাসা তার তীরে তুমি তো জানোই তোমার শরীরে যতটুকু আমি থাকি যতদিন আমি করেছি তোমার পিছুপানে ডাকাডাকি হেরেছি অবলে জন্ম লভিয়া এহেন নীলিমা দেশে এইটুকু মোর শেষ পাওয়া হোক ভিখিরির তব বেশে কোথা হতে আসে পরশ ছাওয়া নিবিড় নিশীথ রাত কোথা হতে আসে পূর্ণিমা তব বাঁকা তন্দ্রের চাঁদ কতদূর তুমি গিয়াছ চলে আর কতদূর যাবে সমাধি আমার উৎকন্ঠিত তোমার গহীন বিরাগে পদতলে তব শোভন সকাল এনে দাও তুমি ডাক পুষ্পের তরে আমি যেনো সেই কতকাল হতবাক হয়েছি পাষাণ মাটির তলে ঘুমিয়েছি আমি বেশে মানুষ হইয়া জন্ম লভিয়া এহেন তব দেশে পাওয়ার যতটা ছিল মোর সাঁঝ বিকেল বেলার তরে গৌরব তব মূর্ছনা যায় ফিরিয়া গিয়াছে দ্বারে কতোকাল আর সইবো বেদন নারির কণ্ঠ রাতে আমার মনে সন্ধেবেলা উড়বার সাধ জাগে উড়ে যাব ওই নীলিমার দেশে যেথায় আকাশ খেলে মাটির তলে যেথায় স্নিগ্ধ সকাল শোভন মেলে বহিয়া যেথায় পড়ে গো চাঁদের জমকালো আয়োজন সেথায় আমার জন্ম, মরণ, সেই দেশ প্রয়োজন

বন্ধু

Image
রক্ত আজিকে বন্য হে মোর বন্ধুসম ভাই আমিতো অবাক মৃত্যু শোকে হয়েছি আজিকে ছাই হয়েছি পাষাণ মাটির মূর্তি হৃদয় বিহীন মানুষ লেশ নেই আজ খোদ জীবনের উড়িয়ে দিয়ে ফানুস কি আর হবে ব্যার্থ চেষ্টা, অন্ধ হাতছানি মনুষত্বের উড়ছে ধ্বজা শত্রুর কপোতখানি আমিই শ্রেষ্ঠ ভগবান পুজি ওরা করে হাহাকার আপন মানুষ হারিয়ে আজিকে শোকাগ্র কতকাল যথার্থ তার মর্যাদা আমি বুঝিনি কভু কালে হারিয়ে গিয়াছে যত আশা মর অথৈ মাটির তলে কে আনিবে তাহার শান্তির বাণী মলিন তাহারি বেশ সুশীতল তার ছায়াতল জুড়ে পুরনো সবই যে শেষ হেথায় তোমরা বুঝিয়ে দিয়েছ আমার আসল রূপ মানুষ নহে হে পাষাণ মাটির মূর্তি জমেছে খুব আমার বক্ষ পাথরসম বলিছে কেহ মুখে করুণা করেছি যতবার তার শোকেও কেঁদেছি ভেসে আমি তো নই হে খুনির দায়ে যুবকের চিৎকার রক্ত আমার আমারই মতো দোষ করেনি কোনোকাল রক্তিম তুমি লাল বিপ্লব ঝলসানো প্রতিবিম্ব বৃষ্টির ফলে ধুয়ে গেছে সেই কবেকার পদচিহ্ন আমি দোষী নই আমি নির্দোষ এ কথা বলব কাকে শোনবার মত লোক নেই আর আমার গহীন ফাঁকে আসামী নই আমি নির্দোষ বলে কতো দেব আর প্রমাণ ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়া মরিছে আমার নিথর প্রাণ কেউ প

বলহীনার সাথে অবিস্মরণীয় স্বর্গ

Image
মনে পড়ে সেদিন কতোটা পথ হেঁটেছিলেম একই অঙ্গে দুর হতে দেখেছিলেম এক সহস্র বছর আমরা হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে গতিহীন সমুদ্রে ভেসে আছে নাম না জানা বদ্ধ কঙ্কাল সেও দেখেছিলেম দুজনে বসে, একাকী নিস্ফল অন্ধকারের তীব্র কটাক্ষ সহ্য করেও একরাশ হাসিমুখ নিয়ে বলেছিলেম, পাশে আছি জীর্ণ শীর্ণ দুখানি হাত আমার হাতের মুঠোয় রেখে তুমি দিয়েছিলে আশ্বাস হটাৎ প্রচন্ড ঝড়ে সে বাস্তব হারালো কোথায়?, কোথায় হারালো সে দিনলিপি, আপামোর ভালোবাসা ধৈর্য সঙ্গী করে দাঁড়িয়েছিলেম তোমার অপেক্ষায় দুর থেকে দূরে যেখানে স্নিগ্ধ পলাশ ফোটে বটের ছায়ায় সেও দেখেছিলেম দুজনে মিলে মুখের পানে তাকিয়ে সেদিন দেখা মিলল আমার সর্বনাশের ফাগুন বেলায় তোমার চাহনি ছিল রুদ্ধশ্বাস কোনো বলহীনা চোখের সম্মুখে এসে দাঁড়িয়েছিলে, তবুও ছিল আপেক্ষিক দূরত্ব সে দুরত্ব মজিয়ে দুহাত দিয়ে স্নেহের কাঙাল এক ছেলে ফিরে এলো খুশির সাগরে সম্মুখসমরে হাজার প্রজাপতি ডানা মেলে উড়ছে, কি নিদারুণ ব্যস্ততা ঘেরা রাজমহল প্রাসাদের মুখে চললে ব্যক্তিগত প্রেম সেদিন এক নিঃশ্বাসে বাঁচছে সেদিনের সেই হাজারো কর্মব্যস্ততার ফাঁকে একটুকরো সময় করে দেওয়া মহামানব যাঁর উপকার ভোলার ন